টগি ফান ওয়ার্ল্ডে টয়া-শাওন দম্পতির একদিন

মডেল ও অভিনয়শিল্পী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া এবং সায়েদ জামান শাওন দম্পতি এসেছিলেন রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের টগি ফান ওয়ার্ল্ডে। টগি ফান ওয়ার্ল্ডে এসে নানা রাইড ব্যবহার করে রীতিমতো অবাক হয়েছেন তারা। এ দেশে এমন কিছু আছে তা নাকি তাদের জানাই ছিল না।

এ দম্পতি তাদের নিজেদের অভিব্যাক্তি শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, মনেই হচ্ছেনা আমরা আসলেই বাংলাদেশে আছি! এর আগে দেশের বাইরে অনেক ভার্চুয়াল থিম পার্কে গিয়েছি। কিন্তু নিজের দেশেই এত বিশাল আয়োজন জানাই ছিল না। এখন আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমাদের দেশেই আছে দক্ষিন এশিয়ার সবচাইতে বড় ভার্চুয়াল থিম পার্ক। এত এত রাইড, কোনটা ছেড়ে কোনটা খেলবো ভাবতেই সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।

থিম পার্ক এ ঘোরার পাশাপাশি এ নিয়ে একটি ব্লগ ও তৈরি করলেন বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৮ থেকে ১৮ পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভার্চুয়াল থিম পার্ক টগি ফান ওয়ার্ল্ডে। টগি ফান ওয়ার্ল্ডে বাস্তব খেলাধুলা ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটির মিশ্রণে অসাধারণ সব আয়োজন রয়েছে।

টয়া বলেন, এখানে এসে আমি আর আমি নেই, আমি একদম বাচ্চা হয়ে গিয়েছি। নিজেকে সেই ছোটবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছি। আমরা দুজনেই সব ভুলে কেবল এই টগি ফান ওয়ার্ল্ডে মজে আছি। প্রচুর মজা করেছি, জাইরো ভি আর থেকে শুরু করে, হ্যাডো, হলোগেইট, হর্স রাইড, এয়ার হকি, স্পেস শ্যুটার এবং আরো অনেক ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ট্রাই করলাম, স্পেস জোনে গেলাম, আয়নায় হারিয়ে গেলাম। সব মিলিয়ে দারুণ লেগেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৮ থেকে ১৮ পর্যন্ত বিস্তৃত টগি ফান ওয়ার্ল্ডে টয়া শাওন দম্পতি সহ তাদের আমন্ত্রিত বন্ধুরা খেলছেন লেজার ট্যাগ, পেইন্ট বল, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ও অগমেন্টেড রিয়ালিটি গেমের মতো রোমাঞ্চকর সব গেম। এক রাইড থেকে অন্য রাইডে ছুটেছেন। এরপর বিরতি নিয়ে তারা বসুন্ধরা সিটির ফুড হলে গিয়ে দুপুরের খাওয়া শেষে আবার ফিরেছেন টগি ফান ওয়ার্ল্ডে।

সবশেষে এ দম্পতি সবার উদ্দেশে বলেন, এখানে না এলে আপনারা কখনো জানতেও পারবেন না কি আছে এখানে! কেবল বলে বোঝানো প্রায় অসম্ভব। এখনি চলে আসুন আর ফিল করুন থ্রিল।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এনজে